বরকতিকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা
সুদীপ্ত চক্রবর্ত্তী, কলকাতা প্রতিনিধি:
কলকাতার ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম বরকতিকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- এ খবরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
২০১৮ সালে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হলে তাঁর জায়গায় বরকতিকে রাজ্য সভায় পাঠাতে চলেছেন মমতা। তৃণমূলের সঙ্গে ইমামের ঘনিষ্ঠতা নতুন নয়। দলের একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায় তাকে।
বরকতিকে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই অনুরোধ করছিল তৃণমূলের একাংশ। কিন্তু এতদিন তাতে রাজি ছিলেন না ইমাম। কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অনুরোধে’ সম্ভবত তিনি রাজনীতিতে আসতে পারেন।
যদিও গত বুধবার বরকতি বলেছিলেন, ‘ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হলে, পাকিস্তানের হয়ে জেহাদ ঘোষণা করবে দেশের ৩০ কোটি মুসলিম’। অনেকেরই প্রশ্ন, যিনি দেশের অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন তাকে আইনসভায় পাঠানো কতটা যুক্তিযুক্তি? তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন তেমনই।
তৃণমূলের খবর, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাতে পারে বিজেপি। তাই পাল্টা সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককে আরও সুগঠিত করতে চান মমতা। আর সেক্ষেত্রে তার প্রথম পছন্দ বরকতি। এসব যুক্তির যদিও কোনো দিনই ধার ধারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে, সিমির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আহমেদ হাসান ইমরানকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন তিনি। যাঁর হাত ধরে সারদার টাকা বাংলাদেশে জামাতের কাছে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি এ রাজ্যে জামাতকে আমদানিতেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই